ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে লম্বা সময় পর সাদা বলের দলে ফিরলেও চোটের থাবায় পুরো সিরিজ খেলতে পারেননি কেন উইলিয়ামসন। সেরে ওঠা নিয়মিত অধিনায়ককে অস্ট্রেলিয়া সফরে পাচ্ছে নিউ জিল্যান্ড। দলে ফিরেছেন পেসার ম্যাট হেনরিও। তিন ওয়ানডের সিরিজটির জন্য বুধবার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। সম্প্রতি বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানো ট্রেন্ট বোল্টকেও রাখা হয়েছে দলে। কেন্দ্রীয় চুক্তি ও ঘরোয়া ক্রিকেটের চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের সাধারণত জাতীয় দলের জন্য খুব বেশি বিবেচনা করে না এনজেডসি। বোল্টের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল তারা। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অভিজ্ঞ পেসারকে পাওয়া যাবে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর চলতি মাসের শুরুতে রঙিন পোশাকে কিউইদের হয়ে মাঠে নামেন উইলিয়ামসন। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারলেও উরুর চোটে ছিটকে পড়েন তিন ওয়ানডের শেষ দুই ম্যাচ থেকে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর স্রফে তিনটি ওয়ানডে খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। হেনরিও ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে। কিন্তু পাঁজরের চোটে মাঝপথে ছিটকে পড়েন তিনিও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসছে সিরিজ দিয়ে আবার ফিরলেন দলে। তার বদলে সবশেষ সফরে সুযোগ পাওয়া বেন সিয়ার্স ধরে রেখেছেন জায়গা। গত বছর টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখা ২৪ বছর বয়সী এই পেসার আছেন ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায়। চোটের কারণে বিবেচনায় রাখা হয়নি দুই পেসার কাইল জেমিসন ও অ্যাডাম মিল্নকে। বাদ পড়েছেন ইশ সোধি, হেনরি নিকোলস ও উইল ইয়াং। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজ। পরের দুই ওয়ানডে মাঠে গড়াবে ৮ ও ১১ সেপ্টেম্বর। অস্ট্রেলিয়ায় ফল আসা সবশেষ ৭ ওয়ানডে হেরেছে নিউ জিল্যান্ড। দেশটির মাটিতে কিউইদের ওয়ানডে জেতা হয় না সাড়ে ১৩ বছর ধরে। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেলবোর্নে সবশেষ স্বাগতিকদের হারিয়েছিল তারা।
নিউ জিল্যান্ড ওয়ানডে দল: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ট্রেন্ট বোল্ট, মাইকেল ব্রেসওয়েল, ডেভন কনওয়ে, লকি ফার্গুসন, মার্টিন গাপটিল, ম্যাট হেনরি, টম ল্যাথাম, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, বেন সিয়ার্স ও টিম সাউদি।