গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও গৃহিত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ গুলো ধীর গতিতে চলায় জন দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
জানা গেছে, গত ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে উপজেলার সর্বত্রই গ্রহণ করা হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তা মেরামত ও ব্রীজ কালভার্ট। কাজগুলো বাস্তবায়ন করছেন এলজিইডি। এ উন্নয়ন প্রকল্প গুলোর মধ্যে অনেকগুলো ইতোমধ্যে কোন কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সফলতার সহিত সমাপ্ত করছেন। আবার অনেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের মর্জি মাফিক মনগড়াভাবে ধীর গতিতে করছে। এদিকে শ্রীপুর ইউনিয়নের বরুয়ারহাট হইতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরি বাঁধ পর্যন্ত রাস্তার কাজ ও ২টি কালভার্ট নির্মানের কাজ চলতি বছরের শুরুতেই উদ্ভোদ্ধন করা হয়। কিন্তু বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরি বাঁধ থেকে পশ্চিমে ৫০০ গজ দুরে মকবুলের বাড়ীর সামনের কালভার্ট টি নির্মানের জন্য পুরাতন কালভার্টটি গত ফের্রুয়ারি/২০২২ ইং ভেঙ্গে ফেলা হলে যানবাহন চলাচল ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হলে বাধ্য হয়ে ঐ স্থানে নরভরে নির্মিত একটি বাঁশের সাকো যানবাহন ও সাধারণের চলাচলের একমাত্র ভরসা। এ ছাড়া ঔ রাস্তা দিয়ে মালবাহি ভ্যান, মিনিট্রাক চলাচল করতে না পারায় বাড়তি ভাড়া গুনে বিকল্প পথে মালামাল পরিবহন করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। শ্রীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ অনেকে জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতির কারণে বর্ষার পানি আসায় কালভার্টটি নির্মাণ করা সম্ভব না হওয়ায় সাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ বেড়েছে। অপরদিকে ধর্মপুর-পাঁচপীর ভায়া সুরুত আলীর মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির সম্প্রসারণ ও মেরামতের কাজ গত বছর আগস্ট/২০২১ মাসে শুরু করা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তার দুই ধার ভেকু দিয়ে খোরার দীর্ঘ ১৪ মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কাজের ৪৫% ভাগের বেশি অগ্রগতি না হওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে অনেক দূঘর্টনা ঘটছে। ধর্মপুর-সীচা রাস্তার পালপাড়া সংলগ্ন নালার উপরের কালভার্টটি দীর্ঘ কয়েক মাস আগে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়লেও হরিপুর তিস্তা ব্রীজের নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় ভারী যানবাহন চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে করে যে কোন মুহুুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এ ব্যপারে উপজেলা প্রকৌশলী শামছুল আরেফিন বলেন গৃহিত ও চলমান প্রকল্প কাজগুলো দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।