কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের গোমকোট গ্রামে সরকারি খাস জমি থেকে গত এক সপ্তাহ যাবত মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। যে যার মতো মাটি কেটে নেওয়ার পাশাপাশি ফসলি জমি গুলোকে গর্ত করে মাটি কেটে বিক্রি করছে এক শ্রেণির মানুষ। এতে করে সরকারি জমি হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি কৃষি জমি ধ্বংসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ময়ুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের সরকারি জমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী শাহিন। তিনি সরকারি জমির এ মাটি গুলো ক্রয় করে ওই এলাকার বিভিন্ন ইট ভাঁটা মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন। শাহিনের নিয়োগকৃত ভেকু ও ট্রাক্টর চালকরা জানান তারা মাটি ক্রয় করেছেন স্থানীয় তফইয়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে মোহাম্মদ রাজুর নিকট থেকে। রাজু স্থানীয় গোমকোট বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী। রাজুকে গিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাওয়া গেলেও সে জানায় মাটি কাটা নির্বিঘœ করার জন্য সে অনেককে টাকা দিয়েছে। তারা তাকে বলেছে মাটি বিক্রি করতে আর কোন সমস্যা নেই। প্রথমে রাজু বলেন ফসল বেশী হওয়ার জন্য উপরের মাটি কাটা হচ্ছে, পরে সে সাংবাদিকদের জেরার মুখে বলে আমি মিডিয়া হয়ে মাটি বিক্রি করেছি। প্রকৃত পক্ষে ওই জমি গুলো গোমকোট গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে মুক্তার হোসেনের দখলে, আর এ মাটি বিক্রির টাকা মুক্তার হোসেন নিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার সর্তে স্থানীয় এক কৃষক বলেন প্রতি ট্রাক্টর ৪ শ টাকা করে এ মাটি গুলো বিক্রি করা হয়েছে।
মৌকরা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশ্রাফুল হক বলেন, জমি গুলো সরকারি হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।