রাজশাহীর বাঘায় র্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে ভেজাল খেজুর গুড় প্রস্তুতকারী কারখানায় অভিযান চালিয়ে তৈরির উপকরণ ধ্বংস করা হয়েছে। গুড় প্রস্তুতকারী এনামুল হক, রেজাউল করিম, রকছেদ আলী, কুদ্দুস আলীর ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা হয়। জানা গেছে, উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামের এনামুল হক, রেজাউল করিম, রকছেদ আলী, কুদ্দুস আলী দীর্ঘদিন চিনি, মোনালিসা, নানা রকম কেমিক্যাল, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা, আটা ব্যবহার করে এই ভেজাল গুড় তৈরি করছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে সোমবার (১৬ জানুয়ারী) দুপুরে গুড় প্রস্তুতকারী চারটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে। পরে চার জনের নামে দুটি মামলা দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ভেজাল গুড় ও তৈরির উপকরণ জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, চিনি দিয়ে গুড় তৈরির কারখানার মালিকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় চিনি, চুন, ফিটকিরি, হাইড্রোজ ও কেমিক্যাল মিশিয়ে ভেজাল খেজুর গুড় তৈরি করে হাট-বাজারে বিক্রি করে আসছে। সেই সাথে গুড়ের রং উজ্জ্বল করতে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাবের সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গুড় ও তৈরির উপকরণ ধ্বংস এবং অর্থদন্ড করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, ভেজাল গুল খেলে ক্যানসার, কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায়। এ ছাড়া ভেজাল গুড় মানবদেহের জন্য ব্যাপক ক্ষতি করে।