কলেজ ছাত্রী আর্নিকা”র (১৮) আত্মহত্যার উদ্যোগ কার্যকর হতে চলেছে। অর্থ সংকটে থেমে গেছে তার চিকিৎসা। শ্লীলতা হানির শিকার হয়ে আত্মহত্যার জন্য হারপিক খায়। বসন্তপুর গ্রামের ভুমিহীন বজলুর রশিদের মেয়ে।
মামলা ও এলাকা সুত্রে জানা গেছে,২২সালের ২৬ অক্টোবর প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফিরছিল। হাটগাঙ্গোপাড়া নামক স্থানে পথ রুদ্ধ করে শারীরিক ভােেব লাঞ্ছিত করে। অশ্লীল কথাবার্তা বলে। এই অশ্লীলতার অপমান সহ্য করতে না পেরে ঐ দিন বাড়িতে ফিরে আত্মহত্যার জন্য হারপিক খায়। ঘটনাটি ঘটায় হাটগাঙ্গোপারা গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৪৫)। তিনি শ্রীপুর রামনগর কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। এই কলেজে সে একাদশ শেনিতে লেখাপড়া করে। কলেজে একাধিক বার এই ছাত্রীকে কু প্রস্তাব দেয়। ঘটনার পর ভুমিহীন পিতা সর্বস্ব শেষ করে মেয়ের চিকিৎসা করে আসছিল। বাবার কাছে আর কোন টাকা নেয়। তাই চিকিৎসা ফুরিয়ে গেছে। মৃত্যুর জন্য এখন শুধু অপেক্ষা। রাজশাহীস্থ রয়েল নামের বেসরকারী হাসপাতালে ৬১৭ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ঐ ঘটনার কয়েকদিন পর এলাকা বাসি ঐ শিক্ষক ও মেয়ের বাবাকে নিয়ে বসেছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়। মেয়ের চিকিৎসার জন্য সমস্ত খরচ ঐ শিক্ষককে বহন করতে হবে। এই সিদ্ধান্তের পর মাত্র ৫হাজার টাকা দেয়। এরপর টাকা না দেওয়ার অস্বীকৃতি জানায়।
ঘটনার পর মেয়ের বাবা ২৬ নভেম্বর ইউ এনওর দপ্তরে শিক্ষার্থী নির্র্যাতনের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের কোন সুরাহ হয়নি। গত ৭ জানুয়ারি বাগমারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের তদন্ত দেওয়া হয় হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ ফাড়ির (তদন্ত কেন্দ্রো) উপর। সেখানকার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার এস আই আবদুল মজিদ বিবাদির সঙ্গে আপোসের জন্য চাপ দেন বলে মেয়ের বাবা (বাদি) জানান। এরপর ১১ জানুয়ারি রাজশাহী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে আনোয়ারকে আসামি করে মামল দায়ের করেন। মেয়ের বাবা (বাদী) বজলুর রশিদ বলেন, এ ঘটনার তিনি সুবিচার চান। আসামি আনেয়ার বলেন এ সম্পর্কে কোনো কিছু বলতে চাইনা। এস আই আবদুল মজিদ বলেন আমার ওসি সারকে সব বলে দিয়েছি সেখান থেকে জেনে নেন। কলেজের অধ্যক্ষ এম এ সালাম বলেন, ঘটনার সময় তিনি দেশে ছিলেন না। তবে দেশে এসে ঘটনার কথা ও আপোষের কথা শুনেছেন। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন সবে মাত্র ্এ থানায় যোগদান করেছি এ বিষয়ে কিছু জানা নেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান বলেন বিষয়টি তিনি জানেন। ঘটনা অনেক বড়। এত বড় ঘটনার বিচারের ক্ষমতা তার হাতে নেই। এজন্য তিনি কিছু করতে পারেননি।