কয়েক বছর ধরে বাজেটে সড়ক যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে আসছে সরকার। তবে বাংলাদেশের কিছুকিছু উপজেলা গুলোতে রয়েছে সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের অভিযোগ। সড়কে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগটি আজকের নয়, অনেক পুরনো। নিম্নমানের এ নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে কমছে সড়কের স্থায়িত্ব। টেকসইভাবে এগুলো মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় হচ্ছে অর্থের অপচয়। সড়ক সংস্কার না হওয়ার ফলে দুর্ঘটনাসহ নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে জনগণদের। যদিও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের কল্যাণে-কাজ করবেন। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এ কথার যথাযথ সুফলতা দেখতে পেলেও অনেক স্থানে রয়ে গেছে রাস্তা নির্মাণ ও পুরনো সড়ক সংস্কারের কাজ। আবার সড়ক নির্মাণের কাজ হলেও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠে আসছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানদের বিরুদ্ধে।
প্রত্যেক জেলা ও উপজেলা গুলোয় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এ রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙে জলে যাচ্ছে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক। ফলে সরকারি বরাদ্দ অবমূল্যায়নের ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীদের। রাস্তায় এমন নিম্নমানের কাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও দেখছে না। সড়ক নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানদের বিরুদ্ধে এমন নানা অভিযোগ থাকা সত্যেও সরকার ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
দেশের সড়কপথগুলো সংস্কারে নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। সড়ক-মহাসড়ক টেকসই করতে হলে সবার আগে দুর্নীতি দমন করতে হবে। সংস্কার ও মেরামতের কাজে যারা গাফিলতি করে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি সনাতন ধারার পরিবর্তে কীভাবে সড়কের টেকসই উন্নয়ন ঘটানো যায়, সে ব্যাপারে গবেষণা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। আমরা আশা করব, সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নির্মাণকাজে গাফিলতি ও ঠিকাদার নিয়োগে নীতিমালা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।