দীর্ঘ ৯ বছর পর রূপসা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য পদে একাধীক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা দলীয় প্রধান ও হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাকর্মী, এমপি ও মন্ত্রীর সাথে। পদপ্রাপ্তির আশায় চালাচ্ছেন লবিং-গ্রুপিংসহ নানা কৌশল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত প্যানা উপজেলা চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে শোভা পাঁচ্ছে। সাধারণ নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে প্রাণ চাঞ্চল্যতা। তবে নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি দলের ত্যাগি ও বঞ্চিত নেতাকর্মীদের।
আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দীন বাদশা, খুলনা জেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আব্দুল মজিদ ফকির, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোর্শেদুল আলম বাবু, খুলনা জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আজিজুল হক কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের উপণ্ডসহকারী প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সোহেল জুনায়েদ।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সরদার হারুনার রশিদের সহোদর সরকারি বঙ্গবন্ধু কালেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফেরদাউস সরদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম ও অধ্যাপক শ্যামল কুমার দাস, টিএসবি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাবিব ও এমডি রকিব উদ্দীন, ঘাটভোগ ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শ,ম জাহাঙ্গীর।
এদিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বিগত তিনটি মেয়াদে থাকা দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের ত্যাগি ও বঞ্চিত নেতাকর্মীরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কামনা করছেন নতুন মুখ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশিরভাগ ত্যাগি ও বঞ্চিত নেতাকর্মী বলেন, বছরের পর বছর একই নেতৃত্ব চলে আসায় দলের মধ্যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কখনো কখনো দলের অভ্যন্তরিন বিরোধ প্রকাশ্যে রুপ নিতে দেখা গেছে। অনুপ্রবেশ ঘটেছে হাইব্রিডের। দলের সুযোগ সুবিধাও তারাই পাঁচ্ছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুইজন দুই মেরুর শীর্ষ দুই নেতার অনুষারি। তারা নিজেদের দ্বন্দ্ব সমাধানে যেখানে ব্যর্থ সেখানে দলীয় কোন্দল কিভাবে মেটাবেন। করোনা পরিস্থিতিসহ বিগত যে কোন ক্রান্তিকালে ওইসব নেতারা দলের ত্যাগি ও বঞ্চিত নেতাকর্মীদের কখনো খোজ নেননি। শুধু নিজেদের আখের গোছানো নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন। তাই দলের পরিক্ষিতদের হাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্ষমতা তুলে দেওয়া দরকার। বিশেষ করে সংগঠনটি বিরোধী দলে থাকাকালে দুর্দিনে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথ কাপিয়েছে। ওয়ান ইলেভেনে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকারসহ কারাভোগ করেছেন এমন নেতা কর্মীদের যথাযথ মুল্যায়ন করবে এমন নেতাকে নেতৃত্ব প্রদানের প্রত্যাশা এসব বঞ্চিতদের।