ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চেয়েও সুন্দর ও নান্দনিক হবে। বুধবার দুপুরে ধোলাইখাল জলাধার সবুজায়ন ও নান্দনিক পরিবেশ উন্নয়নকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র শেখ তাপস বলেন, ধোলাইখাল জলাধার এ এলাকার.. পুরান ঢাকার একটি ফুসফুস। পুরান ঢাকার একটি আকাক্সক্ষার জায়গা। এ এলাকার জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা পূরণে আজ বুধবার ঐতিহাসিক দিবসে আমরা এ কার্যক্রমের শুভসূচনা করতে পেরেছি। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ জলাধার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের শুভসূচনা করতে পারায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আগামী এক বছরের মধ্যেই এ নোংরা দৃশ্যপট, ভাগাড়ের দৃশ্যপট পাল্টে হাতিরঝিলের চাইতেও সুন্দর, সবুজ ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, এখানে যেমন সুপ্রশস্ত হাঁটার পথ থাকবে, তেমনি এলাকার ছেলেমেয়েরা এখানে আসবে, সাইকেল চালিয়ে নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করবে। এখানে সবুজায়ন হবে, উন্মুক্ত মঞ্চ থাকবে। যেখানে আমরা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চা করবো। এ ছাড়া এখানে পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকবে। এখানে ঘাটলা থাকবে, মাঠ থাকবে। এখানে আমরা নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করবো। শিশুদের খেলার জায়গা থাকবে। ঝরনা থাকবে, খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। ধোলাইখালের পানি দূষণমুক্ত রাখতে নানাবিধ উদ্যোগ তুলে ধরে মেয়র তাপস বলেন, এখানে অনেক পয়োঃসংযোগ আছে। সেগুলো আমরা সরিয়ে দেবো, স্থানান্তর করবো। যাতে করে কোনো পয়োঃসংযোগ সরাসরি এ পানি দূষিত করতে না পারে। সেই ব্যবস্থা আমরা করবো। আমাদের এ ধোলাইখাল দূষিত হতে পারবে না। এখানে যে পলি বর্জ্য জমে আছে, সেগুলো আমরা দীর্ঘস্থায়ীভাবে অপসারণ করবো। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে যে বৃষ্টি হয়, সেই বৃষ্টির পানিও আমরা সংরক্ষণ করবো। আমাদের সামগ্রিক কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নত দেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে আমরা গড়ে তুলবোই তুলবো। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান ইমন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম আজাদ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হাসান আলো ও সংরক্ষিত নারী আসনের নাসিমা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।