গত বছর এই মৌসুমে যে জমিতে ছিল বিভিন্ন আগাছার স্তূপ, এবার সেই জমি এখন ধানে ভরপুর। এই জমিই শত বছর অনাবাদি ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় অনাবাদি এ জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাঁচ্ছে পাকা সোনালি ধান। চলতি বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ধানের ফলন বেশ ভালো। প্রতি বছর রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ হলেও এ বছর তেমন একটা ছিল না। আগাম জাতের কিছু বোরো ধান কাটা শুরু হলেও প্রায় জমির ধান ক্ষেত এখনও সবুজে সমারোহ। এই সবুজ ধান ক্ষেতেই কিছু দিন পর সোনালি রঙ ধারণ করবে। এতে দেখা যাবে পুরো মাঠজুড়ে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হবে চলতি মে মাসের শেষের দিকে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আতঙ্ক মাথায় নিয়ে স্বপ্নের ফসল বোরো ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায় এখন দিন গুনছেন কৃষকরা। এবার ধান কর্তন এর সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নিরাপদে ধান ঘরে তোলার পাশাপাশি ধানের বাজার দাম ভালো পেলে কৃষকের লাভের মুখ দেখার স¤া¢বনা রয়েছে। তবে ভালো ফলন হলেও ধানের দাম কম। এমনটা হলে কৃষকের খরচ তোলাই কঠিন। কেননা যেখানে এক বিঘা জমির ধান কাটতেই লাগছে ৫ হাজার টাকা, সেখানে ধানের মণ ১ হাজার ১০০ টাকা থাকলে লাভের মুখ দেখবেন না অনেক কৃষক। যারা নিজেরা খাটতে পারবেন তারাই কেবল একটু পড়তা করতে পারবেন।’ যারা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেছেন, ধানের দাম কম থাকায় তারা লাভবান হতে পারবেন না।’ ধান উৎপাদনে এবার খরচ অনেক বেশি লেগেছে, ‘ধান আবাদ করতে গিয়ে পানির খরচ ও সারের দাম বেশি লাগছে। যে কীটনাশক গতবার সাড়ে ৪০০ টাকা করে কিনেছি সেটি এবার কিনতে হয়েছে সাড়ে ৭০০ টাকা করে। আবার এক বিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে লাগছে ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। তাই সারের দাম কমানোসহ ধানের দামটা যদি একটু বাড়ানো হয় তাহলে কিছু লাভের মুখ দেখতে পাবেন এবং প্রত্যেক উপজেলার কৃষি অফিস থেকে যদি বিনামূল্যে সার ও বীজ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করেন দেশে খাদ্যের অভাব এখনো যতটা রয়েছে তা একেবারেই কমানো সম্ভব হবে এবং কৃষকরা ফসল ফলাতে আরও উদ্যোগী হবেন। কৃষকরা যেন তাদের ন্যায্যমূল্য পান সে ক্ষেত্রে সরকারকে দৃষ্টি আর্কষন করার আহ্বান করছি। যেন প্রত্যেক কৃষকের মুখে ফুটে হাসি।