গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর যোগসূত্রে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের বিরুদ্বে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে সীমাহীন দূর্নীতি ও সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের রাজস্ব/উন্নয়ন তহবিল হতে উন্নয়ন/মেরামতের নামে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। অথচ ওই প্রকল্পগুলো পূর্বেই বিভিন্ন সময়ে এডিপি/রাজস্ব/উন্নয়ন তহবিল /পিআইসি/ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিএসপির বরাদ্ধ দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।
২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জুলাই-আগষ্ট মাসে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পিপুলিয়া দক্ষিনপাড়া আবুল বাসারের কবরস্থান থেকে সামছুলের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটিতে পুরাতন ব্রিক ফ্যাট সলিং মেরামত কাজ দেখিয়ে ৩ লাখ ৫২ হাজার ২শত ৪০ টাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানহা ট্রেডার্স এর নামে জঋছ করে উত্তোলন করা হয়। রাস্তাটি গত ২০২০ সালে উপজেলা পরিষদের রাজস্ব/উন্নয়ন তহবিল হতে সিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়েছিল। এছাড়াও পিপুলিয়া দক্ষিনপাড়া ফারুকের বাড়ী থেকে মোতালেব ভুইয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় পুরাতন ব্রিক সলিং মেরামত কাজ দেখিয়ে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা তার পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানহা ট্রেডার্সের নামে জঋছ করে সম্পূর্ন টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। রাস্তাটি গত প্রায় ৫ বছর পূর্বে নাগরী ইউপি সদস্য আমির হোসেনের মাধ্যমে মেরামত করা হয়েছিল। পিপুলিয়া মধ্যপাড়া মেইন রোড হতে তাইজদ্দিন ভুইয়ার বাড়ী হয়ে আবদুল মজিদ ভুইয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তায় পুরাতন ব্রিক সলিং মেরামত কাজের মাধ্যমে ১ লাখ ৭২ হাজার ৪শত ১৩ টাকা ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানহা ট্রেডার্সের নামে জঋছ করে সম্পূর্ন টাকা উত্তোলন এবং আত্মসাৎ করেন। অথচ রাস্তাটি গত প্রায় ৪ বছর পূর্বে মেরামত করা হয়েছিল। ওই ৩ টি প্রকল্পের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ-সংক্রান্ত বিষয়ে গত ৩১ মে ২০২৩ইং তারিখে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘উপজেলা প্রকৌশলীর সীমাহীন দূর্ণীতি ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে উপজেলা প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আশফিয়াক মোহাম্মদ খালেদ এর মাধ্যমে ৩টি রাস্তার উপর ৩ লড়ী বালু ফেলে সমূদয় টাকা আত্মসাধের নতুন কৌশল অবলম্বন করেন। এ রকম বহু অভিযোগ রয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে। স্থাণীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ঠিকাদারদের সাথে সখ্যতা গড়ে তিনি নিজেকে ক্ষমতাবান হিসেবে জাহির করেন এবং বিভিন্ন লোকজনের সাথে প্রতিনিয়ত দূর্ব্যবহার করেন। দীর্ঘ ৩ বছরের অধিক সময় পার হলেও ক্ষমতার দাপটে তিনি এখনও কালীগঞ্জে বহাল তবিয়তে আছেন।
এ বিষয়ে নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আশফিয়াক মোহাম্মদ খালেদ বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জুলাই-আগষ্ট মাসে বরাদ্ধকৃত লাখ লাখ টাকার কাজের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। সম্প্রতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের ম্যান্টেন্যান্স এর বরাদ্ধের মাধ্যমে ৪ হাজার ইট ও বালু দিয়ে রাস্তা ৩টির মেরামত করেছি।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানহা ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী মো. মোরশেদ আলম বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের ম্যান্টেন্যান্স এর বরাদ্ধের মাধ্যমে রাস্তা ৩টির মেরামত কাজ করেছি।
উ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। উপজেলা চেয়ারম্যান স্যারকে সাথে নিয়ে সাক্ষাতে কথা বলতে হবে।