কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরী হতে অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভিস কন্ডিশনের ৮(১) ধারা বাস্তবায়নসহ ১২ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তা সমিতির ‘ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন’ কমিটি। সোমবার (৭ আগস্ট) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের উপাচার্যের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট স্বাক্ষরিত সংবাদ বিবৃতি পাঠ করেন ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এটিএম এমদাদুল আলম।
কর্মকর্তাদের লিখিত দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির মাধ্যমে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পোষ্যদেরকে ভর্তি করতে হবে। চাকুরী হতে অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভিস কন্ডিশনের ৮(১) ধারা বাস্তবায়ন করতে হবে। আইসিটি সেলের উপরেজিস্ট্রার হাসিনা মমতাজ এর চাকুরী হতে অব্যাহতির প্রদানের গৃহীত অমানবিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। টেকনিশিয়ান ইলিয়াস জোয়াদ্দারের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে জরুরিভাবে চাকুরীতে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সিনিয়র ইমাম মনিরুজ্জামান এবং ইমাম বেলায়েত হোসেন-এর পদোন্নতি ও বাতিলকৃত উচ্চতর স্কেল প্রদান করতে হবে।
প্রকৌশলী বাদশা মামুনুর রশিদ ও নুর-এ আলমের পদোন্নতির সমস্যা সমাধান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুজনিত কারণে কর্মচারীদের পরিবারের যোগ্যতম ব্যক্তিকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মৃত্যুর নব্বই দিনের মধ্যেই চাকুরী প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।সিন্ডিকেটের অনুমোদিত কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালার বিশেষ টিকার আলোকে ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শাখা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির কারণে কর্মচারীদের অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরীক্ষার পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় গাড়ি চালকদেরকে সাত ধাপের সুবিধা বাস্তবায়ন করতে হবে ও সাধারণ কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী বছরে চার বার পদোন্নতি বা আপগ্রেডিং এর মাধ্যমে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে।
দাবিসমূহ বাস্তবায়নের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি’ গত চারদিন ধরে কর্মবিরতির মাধ্যমে আন্দোলন করে আসছে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ।