ঈদুল আজহায় মুক্তি প্রাপ্ত চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত সিনেমা ‘প্রহেলিকা’য় অভিনয় করেছেন অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। দেশের প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। গত রোববার সিডনির একটি মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখেছেন ঢালিউডের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। ‘প্রহেলিকা’ দেখার অনুভূতি জানিয়ে শাবনূর বলেন, ‘আমি ছবিটি দেখে খুব মজা পেয়েছি, ডিফারেন্ট একটা গল্প। চয়নিকা চৌধুরীর কাজ আগেও দেখেছি। তিনি ভালো নির্মাণ করেন। সিনেমাটা দারুণ বানিয়েছেন তিনি। আর আমাদের মাহফুজ তো কামাল করে দিয়েছে। তার গেটাপ, অভিনয় সব দারুণ। ছবির প্রত্যেকে সেরাটা দিয়েছেন।’ শাবনূর জানান, প্রায়শই তিনি সিনেমা দেখতে আসেন ছেলে আইজানকে নিয়ে। তবে এই ছবিটি দেখতে এসে তার অভিজ্ঞতা হলো বেশ আলাদা। তার ভাষায়, ‘আমি আজ এসে তো অবাক। কারণ, এখানে (অস্ট্রেলিয়া) জন্ম নেওয়া ছেলে-মেয়েরাও দেখলাম ছবিটি দেখতে এসেছে। যেটা সাধারণত দেখি না আমি। এগুলো দেখলে সত্যিই আমার ভালো লাগে।’ নায়িকা আরও জানান, ছবিটি দেখার জন্য কয়েক দিন ধরে টিকিট পাঁচ্ছিলেন না। গত রোববার একটি টিকিট পেয়েছেন। ফলে এক চেয়ারে বসেই মা-ছেলে ছবিটি দেখেছেন। শাবনূরের ভাষায়, ‘আমি আসলে টিকিটটি মিস করতে চাইনি। কারণ পাঁচ্ছিলাম না। তাই আমি আর আইজান এক চেয়ার শেয়ার করে ছবিটি দেখেছি।’ শাবনূরে বিমুগ্ধ মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘আগেও দর্শক হিসেবে পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর মুগ্ধ হয়ে শাবনূরকে দেখতাম। এখনো শাবনূর বলেই যাচ্ছে আর আমি মুগ্ধ হয়ে শুনছি। শাবনূর আসলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অ্যাকটিং মানদণ্ড তৈরি করে দিয়েছে। এখনো যে মেয়েরা সিনেমায় আসছে তারা তোমাকে ফলো করে। এটাই হলো তোমার বড় অর্জন।’ পর্দায় দুজনে বেশ কটি সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন, তাই শাবনূরের প্রতি মাহফুজ আহমেদের আবেদন রাখেন ‘কামব্যাক’ করার। এমন প্রস্তাব শাবনূর বললেন, ‘আমি এই কামব্যাক শব্দটাই পছন্দ করি না। আমাদের ব্যাক করার কী আছে। আমরা তো ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গেই আছি। পালিয়ে যাইনি কিন্তু। ভালো গল্প বা পছন্দের চরিত্র পেলে অবশ্যই কাজ করব। বলা যেতে পারে, আমরা পছন্দের কাজের অপেক্ষায় আছি।’ শেষে ‘প্রহেলিকা’ ছবির নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ও নায়িকা শবনম বুবলীর প্রশংসাও করেন শাবনূর। গত ঈদে মুক্তি পাওয়া আলোচিত তিন ছবির একটি ‘প্রহেলিকা’। এতে মাহফুজ আহমেদ ও বুবলীর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, রাশেদ মামুন অপু, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ। রঙ্গন মিউজিকের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জামাল হোসেন।