খুলনার দৌলতপুরের চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার এজাহাভুক্ত আসামি রাকিবসহ ৩ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। দৌলতপুর থানা পুলিশ এজাহার নামীয় আসামি রাকিব (২২) কে দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া কুকুর মারা মোড় থেকে গ্রেপ্তার করেছে। ইতোমধ্যে ২ আসামীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে পাবলা কবির বটতলা এলাকা থেকে দৌলতপুর থানা পুলিশ একই মামলার অজ্ঞাতনামা ১৫ আসামীর মধ্য থেকে ইব্রাহিম শেখের পুত্র ফোরকান শেখকে আটক করে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
খুলনার দৌলতপুরের পাবলায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধুকে দুর্বৃত্তদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় আসামি পাবলা কেশবলাল রোডের রাকিব শেখ (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। তার পিতার নাম ইসরাফিল শেখ। অবশেষে মামলার ৭ দিনের মাথায় ২৪ সেপ্টম্বর সন্ধ্যায় রাকিব (২২) কে আটক করে দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের কুকুরমারা মোড় থেকে দৌলতপুর থানা পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টায় রাকিবকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামির রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এর আগে পুলিশ এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫ আসামীদের মধ্যে ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই এজাহারের প্রেক্ষিতে দৌলতপুর থানার মামলা নং- ১৫, তারিখঃ ১৮/০৯/২০২৩, ধারা- নাঃ শিঃ নিঃ দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০২০) এর ৯ (৩) তৎসহ ৫০৬ পেনাল কোড, ১৮৬০ রুজু করা হয়। এ পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জন কে আটক করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামীর নাম রাতুল। দৌলতপুর থানার ওসি তদন্ত এ প্রতিবেদককে জানান ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে আছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল আসামীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, দৌলতপুর থানাধীন পাবলা কেশব লাল রোডের শাহজাহান শেখ (গুরুর) বাড়ীর ভাড়াটিয়া গত ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে ১৫ জনের অধিক দুর্বৃত্তদের গৃহবধু সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। দুর্বৃত্তদের ভয়ে ও হুমকীর কারণে গৃহবধুর পরিবার মামলা করতে সাহস পায়নি। অসুস্থ গৃহবধু চিকিৎসা নিতেও যেতে পারেনি। প্রশাসনের সহযোগিতায় ৫ দিন অতিবাহিত হলে ১৮ সেপ্টেম্বর মামলা রুজু হয়। এ মামলার এজাহার নামীয় আসামি দুলালের দুই পুত্র আল আমিন (৩৯) ও হৃদয় (২০) সহ অজ্ঞাত আরো ১৩ আসামি পলাতক রয়েছে।
এহেন জঘন্য ঘটনার জন্য এলাকাবাসীসহ সকল নারীবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সকল মহল এ জঘন্যতম ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
উল্লেখ্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার পাবলা গ্রামের কেশবলাল রোডের শাহজাহান শেখের (গুরু) বাড়ি ভাড়াটিয়া গৃহবধূকে একই এলাকার ১৮ জনের একটা সংঘবদ্ধ অপরাধী কিশোর গ্যাং গণধর্ষণ করে। অপরাধ করার পর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। যে কারণে ধর্ষিতা ৫ দিন পর্যন্ত আইনের আশ্রয় ও চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে পরেনি। ঘটনার ৫ দিন পর পুলিশ খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানায় এনে মামলা দায়ের করে।