সাংগঠনিক রীতিনীতি বর্হিভূতভাবে দল পরিচালনা করা, উন্নয়নের ব্যাপক বৈষম্য ও কাউখালী হাটের খাজনা মওকুফ ঘোষনা করা সত্বেও সরকারি টাকা পরিশোধ না করায় জাতীয় পার্টি (জেপি)’র উপজেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ মিয়া মনু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির জেপির সহ-সভাপতি সিকদার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম নসু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ লিটন, নেপাল চন্দ্র দে, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খসরু মিয়াসহ তিন সহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টি (জেপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (৭ অক্টোবর ) বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পদত্যাগের এই ঘোষনা দেন। এ সময় আবু সাঈদ মিয়া মনু বলেন কাউখালী-ভান্ডারিয়া-ইন্দুকানী তিন উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-২ আসন গঠিত (চলমান) হলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাউখালী উপজেলা চরমভাবে অবহেলিত। বার বার এমপিও মহোদয়কে বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আহবান জানালেও তিনি তা ভুরুক্ষেপ করেননি। এমপি মহোদয় গত বৈশাখ থেকে কাউখালী উপজেলা হাট বাজার খাজনামুক্ত ঘোষনা করেন এবং সরকারি টাকা নিজ তহবিল থেকে পরিশোধের ঘোষনা দেন। কিন্তু ছয় মাস পর্যন্ত তিনি কোন টাকা পয়সা পরিশোধ করেননি। গত ছয় মাসের টাকা আমাকেই বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এমপি মহোদয় সম্প্রতি সরাসরি বলে দেন তিনি কোন টাকা পয়সা দিবেন না এবং আরও বলেন হাটবাজার সরকারি ভাবে ইজারার দেওয়া হোক। গোটা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও কাউখালীবাসী উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। সংগত কারনেই এর আংশিক দায়ভার আমার উপরে বর্তায়। সে কারণে আর কোন পথ খোলা না থাকায় আমি এবং আমার সাথে থাকা উল্লিখিত নেতৃবৃন্দসহ তিন সহস্রাধিক নেতাকর্মী আমরা পদত্যাগ করিলাম। আগামীতে তিনি কোন দলে যোগ দেবেন কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগে আমি স্বতন্ত্র হিসেবে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম, এরপরে আমি দশ বছর জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত, আপাতত স্বতন্ত্র হিসেবে আছি। উন্নয়নের রাজনীতি করি এ পথ থেকে পথভ্রষ্ট হব না।