ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল থেকে জয়শ্রী নামক স্থান পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার জুরে প্রয় তিন হাজার বিভিন্ন প্রজাতের গাছ গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো.হাবুল বেপারী ‘এলাহি এগ্রো লিমিটেড’ নামে ওয়ার্ক অর্ডার ও কার্যাদেশ দেখিয়ে কোটি টাকার গাছ কাটতেছিলো প্রায় ৬ দিন ধরে। কোটি টাকার প্রায় শতাধিক গাছ কেটে নিয়েগেছে। আরো কয়েক কোটি টাকার গাছ লুটপাটের চেষ্টা করে। স্থানীয়রা গাছ কাটার বিষয়টি বরিশাল সড়ক ও জনপদে নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানালে তিনি ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের বৃক্ষপালন বিদের নির্বাহী প্রকৌশলী সাথে যোগাযোগ করা হলে জানতে পায় গাছের কোন টেন্ডার হয় নাই। ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বরিশাল সড়ক ও জনপদ প্রকৌশলী ৫০টি গাছ জব্দ করে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে নিয়ে যায়ন। ঠিকাদার প্রতিষ্টানের মালিক বলছে আমি গাছের টেহুার দেয়নি। যারা আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানিয়েছেন। বরিশাল সড়ক ও জনপদে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন ২৫ জানুয়ারি সাংবাদিকদের জানান, আমাকে স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছেন। উপ-বিভাগীয় বৃক্ষ পালন বিদ ঢাকা অফিসের স্বারক ১২১/১ (১১) উঃ বৃঃ, তারিখ ৩১/১২/২০২৩ ইং ঢাকা, মিরপুর, পাইকপাড়া, সওজ উপ-বিভাগীয় বৃক্ষপালনবিদ (অ:দা:) মো.আমানত আলী স্বাক্ষরতীয় কার্যাদেশ দেখানো হয়েছে “এলাহি এগ্রো এন্টাপ্রাইজ” নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। প্রতিষ্ঠান মালিক মো. নূরুজ্জামান (ফরহাদ মুন্সি) এর অনুকূলে একটি ওয়ার্কা অর্ডার দেখিয়ে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল থেকে জয়শ্রী নামক স্থান পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার জুরে প্রয় তিন হাজার বিভিন্ন প্রজাতের গাছ কোটি টাকা মূল্যের গাছ কাটতেছিলো প্রায় ৬ দিন ধরে, গৗরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো.হাবুল বেপারীনেতৃত্বে। আমি বিষয়টি ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের বৃক্ষপালন বিদের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মুকুট আহমেদের কাছে খোঁজনিয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন সড়ক ও জনপদ কার্যালয় থেকে কোন গাছ কাটার টেন্ডার হয়নি। এমনকি যে ওয়ার্ক অর্ডারটি দেখানো হয়েছে সেটি ভুয়া। আমি তাৎক্ষণিক সড়ক ও জনপদের বরিশাল উপ-সহকারি প্রকৌশলী (সিভিল) অরুন কুমার বিশ্বাসকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার প্রয় ৫০টি গাছ জব্দ করে বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে নিয়ে আসি। বরিশাল সড়ক ও জনপদে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন তিনি আরো বলে গাছকাটা ওই চক্রটির বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়াহবে। স্থানীয় জামাল হাওলাদার, নজরুল সরদার,বাহার বিশ্বাস ও হারেজ ঘরামী বলেন, আমার দেখি উপজেলার বামরাইল, সানুহার ও জয়শ্রী রাস্তার পারে বড় বড় গাছ গুলো ৫/৬ দিন ধরে কেটে কেটে প্রায় কোটি টাকার গাছ গাড়ি ভরে নিয়ে যায়। কিন্তু গতকাল ২৪জানুয়ারি বরিশাল থেকে রাস্তার লোক আইয়া গাছ কাট বন্ধকরেদিয়া। কাটাগাছগুলা বরিশাল অফিসে লইয়াগ্যাছে।যারা এই সরকারি গাছ চুরি করতে নিতেছলো তাদের বিচার হওয়া দরকার। আমরা তাদের বিচারচাই। এ ব্যাপারে বরিশাল উপ-সহকারি প্রকৌশলী (সিভিল) অরুন কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি বরিশাল সড়ক ও জনপদে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থালেগিয়ে ৫০টি গাছ জব্দকরে ট্রাকেকরে বরিশাল অফিসে নিয়ে আসি এবং গাছে সিজারলিষ্ট করা হয়েছে। যে কার্যাদেশ বলে গাছ কাটছিলো আমরা খোঁজনিয়ে দেখেছি ওই কার্যাদেশটি ভূয়া। এর আগে ওই চক্রটি কোটি টাকার প্রায় শতাধিক গাছ কেটে নিয়েগেছে। গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো.হাবুল বেপারী জানান, আমি সড়ক ও জনপদের ঢাকা অফিসের সহকারি মো.আরিফুল ইসলাম নামক এক কর্মকর্তার মাধ্যমে গাছ কাটার অনুমতি আনাহয়েছে। গাছ কাটার ওই ওয়ার্ক অর্ডার ভূয়া তা আমি বুঝতে পারি নাই। এব্যাপরে অভিযুক্ত সড়ক ও জনপদের ঢাকা অফিসের সহকারি আরিফুর ইসলামের সাথে বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসির্ভ করেননি। তাই তার বক্তব্যদেয়া যায়নি। (তার মোবাইলি নম্বর ০১৭১০৬২৫১৬৮)। এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়া হোসেন বলে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গাছকাঁটার কোন কার্যাদেশ আমি পাই নাই। এই বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এ ব্যাপারে এলাহি এগ্রো এন্টাপ্রাইজ এর মালিক মো.নূরুজ্জামান ওরফে ফরহাদ মুন্সি জানান, আমি গাছের ব্যবসা বুঝিনা। আসি গাছের ব্যবসা করিনা। আমার প্রতিষ্ঠান ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল-জয়শ্রী নামক স্থানের কোনো গাছের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করিনাই। আমার প্রতিষ্ঠানের নামে কোন টেন্ডার পায়নি এবং টেন্ডারে বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। মো.হাবুল বেপারীনামে এক ব্যাক্তি আমার নাম ব্যবহার করে এই কাজটি করেছে। আমার নাম ব্যবহার করে যারা এই কাজ করেছেন তাদেবিরুদ্ধে আমি আইনের আশ্রায় নিবো। আমি (আজ ২৫ জানুয়ারি) গৌরনদী থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ ব্যাপারে ঢাকা, মিরপুর, পাইকপাড়া, সওজ উপ-বিভাগীয় বৃক্ষপালনবিদ (অ:দা:) মো.আমানত আলী সাথে যোগাযোগ পাওয়া যায়নিবলে তার বক্তব্য দেয়াসম্ভব হয়নাই।