চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার স্টার আলকায়েদ জুট মিল সম্মুখ পূর্ব শ্রীরামদী বালুর মাঠে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমার আজ শনিবার সমাপনী দিন।সকাল এগারোটায় বয়ানের পর মুনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইল মসজিদের প্রধান মুরুব্বী সৈয়দ ওয়াসিবুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার জেলা ইজতেমার দ্বিতীয় দিন হাজার হাজার মুসলিম মুসল্লির অংশগ্রহণে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশাল এই জামাতের ইমামতি করেন চাঁদপুর জেলা তাবলীগের প্রধান মুরুব্বী চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ড কবরস্থান গোরে-এ গরিবা জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুর রশিদ। নামাজ শেষে মোনাজাতে মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। এরপর বয়ান করেন মরক্কো থেকে আগত মেহমান। চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওসমান গনি পাটোয়ারী, ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম খান,জেলা তাবলীগ জামাতের হাজী আরিফ উল্লাহ, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মোঃ আব্দুল্লাহসহ মুরুব্বীগণ ও বিশিষ্ট জন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতি বছরের মতো এবারও এ ইজতেমার আয়োজন করে জেলা তাবলিগ জামায়াত এক পক্ষ । বৃহস্পতিবার (৭ই মার্চ) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তিনদিন ব্যাপী চাঁদপুর জেলা ইজতেমায় ভোর রাত থেকেই বিপুল সংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটে। আজ শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে। চাঁদপুর জেলা ইজতেমার প্রধান মুরব্বি মাওঃ আব্দুর রশিদ জানান, জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমার অংশ হিসেবে চাঁদপুরে এ আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার ফজর নামাজ পড়ে শুরু হয় বয়ান। ঈমানের উপর আল্লাহর একত্ববাদ এবং রাসুল পাক (সাঃ )এর রেসালাত, আখলাক আখেরাতের আলোচনা করা হয়।জেলা ইজতেমায় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, মরক্কো ও ভারত থেকে আসা মেহমানরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বাহরাইন ও চীনের মেহমানরা দুদিন আগেই সফর করে গেছেন।তিনি এ আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ জানান। এদিকে,ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সুপারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। ছবি ক্যাপশনঃ চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার পূর্ব শ্রীরামদী বালুর মাঠে জেলা ইজতেমায় শুক্রবার জুমার নামাজে উপস্থিত মুসল্লিদের একাংশ।