রংপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছেন সেনা সদস্যরা। নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে ফেস মাস্ক বিতরণ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে উদ্বুদ্ধ করছেন তারা। সঙ্গে নগর ও গঞ্জে ছিটাচ্ছেন জীবাণুনাশক স্প্রে। সেনাবাহিনীর এমন কার্যক্রমে আস্থা বেড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রংপুর নগরীর প্রধান
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দুই দিন পর। ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ। মুক্তিকামী ওরাও, সাওতাল আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ সাধারণ জনগণ ঢোল বাজিয়ে একত্রিত হয়েছিল নিসবেতগঞ্জের ঘাঘট নদীর পাড়ে। উদ্দেশ্য পাকিস্তানী সেনাবাহিনীদের ক্যান্টনমেন্ট দখলে নেয়া। দেশপ্রেমে উন্মত্ত বাঙালী জনগণ দা, বল্লম, তীর-ধনুক আর লাঠি-সোডাসহ হাতের কাছে যা পেয়েছে তাই নিয়ে
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার তত্বাবধায়নে ব্রপক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারী ছুটির দিনেও শুক্রবার মাঠে ছিল ব্যপক তৎপরতা। গত ১৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডে করোনা প্রতিরোধে সমন্বিত কার্যক্রম। কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও
রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন বিদেশ ফেরত আরও ১০৪ জন। এনিয়ে এইবিভাগে মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন ১ হাজার ৭৬১ জন। রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন জেড এম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, শুকত্রবারসকাল ৬ টা পর্যন্ত এই বিভাগের
রংপুর মেডিকেল কলেজে এসে পৌঁছেছে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ মেশিন পিসিআর ও কিট। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটায় ঢাকা থেকে ট্রাকযোগে আসে এসব মালামাল। কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবরেটরিতে সেটি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ একেএম নূর-উন-নবী লাইজু জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আইইডিসিআর থেকে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশের ন্যায় রংপুরেও বন্ধ করেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ হোটেল রেস্তোরাঁ। এই অবস্থায় রংপুর নগরীতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষেরা। এমন পরিস্থিতিতে মহানগর জাতীয় যুব সংহতি অসহায় দু:স্থদের পাশে দাড়িয়েছে। শুক্রবার বিকেলে রংপুর মহানগরীর শালবন মিস্ত্রীপাড়া মোড়ে ২ শতাধিক অসহায় দু:স্থ ও শ্রমজীবি মানুষের
রংপুর মহানগড়ীর ব্যস্ততম সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা। বন্ধ সকল শপিংমল ও বড় বড় মার্কেটগুলো। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশ-প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার। তাই রংপুর নগরীর সড়কগুলো থেকে চিরচেনা যানজট উধাও হয়ে গেয়েছে। বন্ধ রয়েছে পাড়া-মহল্লার ছোট বড় মুদি ও পান দোকানও পর্যন্ত। এ
রংপুরের পীরগাছায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সচেতন করতে গত ৪ দিন ধরে গ্রামে গ্রামে কাজ করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পড়-য়া শিক্ষার্থীরা। পীরগাছার কৃতী সন্তান এসব শিক্ষার্থী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও সাবান বিতরণ করে। পীরগাছা উপজেলা সমিতি রাজশাহী
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মত রংপুরেও সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, প্রতিষ্ঠানসহ শপিংমল ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বৈশ্বিক এ মহামারিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেয়া হয়েছে ১০ দিনের ছুটি।শহর, বন্দর, গ্রামে জনসমাগম এড়িয়ে ঘরে থাকতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন
করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের মত রংপুরেও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে কোন অনুষ্ঠান পালিত হয় নি। তবে জনসমাগম এড়িয়ে দিবসের প্রথম প্রহরে রংপুর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকেই রংপুর নগরী অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। কোথাও লেস নেই