চিরিরবন্দরের ঘন্টাঘর পোস্ট অফিসটির বেহাল দশা

এফএনএস (মোরশেদ-উল-আলম; চিরিরবন্দর, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ৯ জুলাই, ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
চিরিরবন্দরের ঘন্টাঘর পোস্ট অফিসটির বেহাল দশা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে স্বাধীনতার পুর্বে স্থাপিত ঘন্টাঘর বাজারে পোস্ট অফিসটির বেহাল দশা হওয়ায় বর্তমানে ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়েছে। যেকোন সময় পোস্ট অফিসের মাটির ঘরটি ধ্বসে পড়ে প্রাণহানি হওয়ার আশংকা রয়েছে। চিঠিপত্র আদান-প্রদানের জন্য একসময় সাতনালা ইউনিয়ন, নশরতপুর ইউনিয়নের বৃহদাংশ ও সাঁইতাড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের একমাত্র অফিস ছিল। বর্তমানে মাটির ঘরটির অবস্থা অতীব করুন। ভেঙ্গে পড়েছে দেয়াল। দরজা ঘুনে নষ্ট হয়ে গেছে। জানালা চুরি হয়ে গেছে। বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে ঘরটি। অফিসের আসবাবপত্র পোস্টমাষ্টার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। পোস্ট মাষ্টারের অবহেলা অযত্নে অফিসটিতে বসার কোন পরিবেশ নাই। 

স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তি আনিসুল হক শাহ (৫৮) জানান, আমরা জন্মলগ্ন থেকেই পোস্ট অফিসটি দেখে আসছি। কিন্তু কখনও কাউকে এর সংস্কারের উদ্যোগ নিতে দেখিনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ভুমিকম্পে যেকোন সময় মাটির তৈরী অফিস ঘরটি ধ্বসে প্রাণহানি ঘটতে পারে। 

স্থানীয় আরেক প্রবীণ ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- এলাকার কেউ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে টাকা পাঠালে ওই পোষ্ট মাস্টার গ্রাহককে না জানিয়ে বেশ কিছুদিন গোপন রাখতেন। পরবর্তিতে জানাজানি হলে টাকাগুলো কয়েক দফায় দিতেন। এখনও তার ওই স্বভাব রয়েছে। মূলত তার কারনেই পোস্ট অফিসটির বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। 

স্থানীয় ও বিন্যাকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ মসলেম উদ্দিন বলেন-একসময় বেশ চিঠিপত্র আদান প্রদান হত। এখনও মাঝে মাঝে বেশ চিঠিপত্র আসে। ঘরটির অবস্থা অত্যান্ত শোচনীয়। দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। 

ওই শাখা অফিসের পোস্ট মাষ্টার শাহজাহান আলী বলেন-বিষয়টি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবরে লিখিত আবেদন দেয়া হয়েছে। নিজস্ব কোন জমি না থাকায় সরকারিভাবে ভবন করা হয়নি। আর এখন সরকারি কয়েকটি চিঠিপত্র ছাড়া অন্য চিঠিপত্র তেমন না আসায় ভবন নির্মানের তেমন গুরুত্ব নাই। গ্রাহকের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- বর্তমানে কেউ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে টাকা পাঠায় না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে