দুর্গাপুরে হাসিবুল হত্যাকান্ডের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত, এক নারী গ্রেফতার

এফএনএস (মোবারক হোসেন শিশির; দুর্গাপুর, রাজশাহী) :
| আপডেট: ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম | প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
storage/2025/august/10/news/fair-news-service_689894230739a-1754829859.jpg

রাজশাহীর দুর্গাপুরে হাসিবুল হত্যাকান্ডের ঘটনার জেরে জামিনে আসা ওয়াজেদ আলী (৬৫) নামের এক ব্যাক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সেই সাথে স্ত্রী ও সন্তানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। এঘটনায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে আরিফ এর স্ত্রী নাসরিন বেগম (৩৫) কে আটক করেছে। 

রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হোজা অনন্তকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওয়াজেদ আলী একই গ্রামের মৃত দলিমুদ্দিনের পুত্র।

হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে হোজা অনন্দকান্দী গ্রামের আরিফ হোসেনের স্ত্রী নাসরিন বেগম (৩৫) কে আটক করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। 

এঘটনায় আহতরা হলেন, নিহত ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী লাইলী বেগম (৫৭) ও তার ছেলে মাসুম আলী (২৮)। আহতদের তিনজনকে প্রথমে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টায় মারা যান ওয়াজেদ আলী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গত ১৪ মে একই গ্রামে মারামারির ঘটনায় হাসিবুর নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। ওই ঘটনায় গত ১৫ মে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। যা মামলা নম্বর ১৩। ৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন নিহত ওয়াজেদ আলী। ওয়াজেদ আলী গত এক মাস আগে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় অবস্থান করেন। গত রবিবার (১০ আগস্ট) সকালে ওয়াজেদ আলী তার ছেলেকে নিয়ে হোজা বিলের পশ্চিম পাশে নিজের পান বরেজে কাজ করছিলেন। এসময় একই প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া ও রামদা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় তাদের ওপরে। 

হামলায় ওয়াজেদ আলীর মাথা, বাঁ হাতের কব্জি ও পায়ে গুরুতর জখম হয়। ও তার ছেলে মাসুম গুরুতর আহত হয়। এসময় ওয়াজেদের স্ত্রী লাইলী বেগম খবর পেয়ে সেখানে গেলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সেউ গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। 

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে বেলা ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াজেদ আলী মারা যান।

আহত ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, “আমার স্বামী ও সন্তান আদালত থেকে জামিনে এসেছেন, তবুও প্রতিপক্ষের ভয়ে আমরা নিজ বাড়িতে উঠতে পারি না। নানা সময় তারা হুমকি-ধমকি দেয়, এজন্য আমরা আত্মীয়ের বাড়িতে থাকি। রবিবার সকালে পানের বরজে গেলে আমার স্বামী ও সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা চালায়। এমনকি আমাকে হাত-পা ভেঙে পানিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই হামলায় আমার স্বামী মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই। ”

এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার তদন্ত (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “ পুর্বে একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় একটি পক্ষের ৩জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ওয়াজেদ আলী নামে একজন মারা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে