কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আয়োজনে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনু ষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গল বার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, আয়োজিত সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব ফৌজিয়া খান জেলা প্রশাসকের বক্তব্য বলেন, আমি গ্রাম আদালতকে নিয়ে কাজ করতে চাই, সক্রিয় করতে চাই। গ্রাম আদালতে মামলার পরিমা কম, রেজিষ্টার আপডেট নাই। অনেক ইউপি’তে জায়গা না থাকার কারণে, বিভিন্ন জটিলতার কারণে এজলাস স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যানগণদেরকে আদেশ লেখার এবং বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। যেখানে গ্রাম আদালত আছে সেখানে ছোট ছোট বিরোধ থাকার কথা নয়, নথি বা মামলার যাবতীয় রেজিষ্টার আপডেট থাকবে। কিন্তু সঠিক ভাবে নথি আপডেট নাই। ইউপি সদস্যদের কেও আদেশ লেখা শেখাতে হবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণদের মাধ্যমে উপজেলা ও ইউনয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন প্রদানের ব্যবস্থা’ করতে হবে। গ্রাম আদালতের মামলার ধরণ সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে। উঠান বৈঠক ও অনান্য সভার মাধ্যমে। ছু টির দিন হলেও আমি ইউপি এবং উপজেলা পর্যায়ে যেতে চাই, আমি গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ রুবেল মাহমুদ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন,গ্রাম আদালত পরিচালনা করেন ইউপি চেয়ারম্যানগণ, তাই প্রত্যেক উপজেলা থেকে অন্তত একজন করে সভায় উপস্থিত রাখার বিয়য়ে মতামত প্রদান করেন। উপজেলা সমন্বয় সভায় সকল চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত থাকেন সেই দিন তাদের সাথে উক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সাথে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে ইউপি’তে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সাথে আলোচনা করা হবে। হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার পারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান ওয়েছে। গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে প্রচার বৃদ্ধি করতে পারলে এবং মানুষদেরকে জানাতে পারলে গ্রাম আদালত সক্রিয় হবে। সভায় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইপসা, কিশোরগঞ্জ জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার হাফিজা আক্তার প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও প্রকল্পের আওতায় প্রচার-প্রচারণা (আউটরীচ) কার্যক্রমের পরিকল্পনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং স্থা নীয় পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা সমূ হের ভূমিকা এবং ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত মামলার তথ্য গত সভার সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনা সমূহ, এবং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন । সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান, বালাদেশ আনসার ও ভিডিপির সার্কেল এডজু ট্যান্ট মো: মিজানুর রহমান ভূইয়া, জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা, এডভোকেট হামিদা বেগম, তৃ ষঞা সমাজকল্যান সংস্থার তরিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক, জেলা সম্বরণীবালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সহকারী পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সহকারী পরিচালক, জেলা তথ্য অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুজ্জামান খান, সহকারী পরিচালক, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমুখ। এছাড়াও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারীগণ,পপি ও ব্রাকের সমন্বয়কারীগণ।