একই জমি মধ্যস্থতা (দালালি) করে দুইজনের কাছে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। এ ঘটনায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামের। শনিবার সকালে ওই গ্রামের বাসিন্দা রবিন্দ্রনাথ পালের ছেলে অসীম পাল অভিযোগ করে বলেন, তার চাচা বিনয় ভূষন পাল অসুস্থ হয়ে পরলে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অখিল দাসের মাধ্যমে চাচাতো ভাই সুব্রত ও জয় পাল তাদের অংশের ১২০ শতক জমি বিক্রির জন্য প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে জমি বিক্রি বাবদ বায়না চুক্তির মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। ওইসময় অখিল দাস মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। রবিন্দ্রনাথ পাল আরও জানান, বায়নার টাকা নিয়েও সেই জমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অখিল দাস ও তার কতিপয় সহযোগিদের মধ্যস্থতায় পূণঃরায় অতিগোপনে সোমবার অন্যত্র বিক্রি করা হয়। সেখান থেকেও অখিল ও তার সহযোগিরা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করেছেন। অভিযোগ করে রবিন্দ্রনাথ বলেন, আমার চাচাতো ভাইয়েরা রাজশাহীতে থাকেন। অখিল দাস তাদেরকে রাজশাহী থেকে এনে নিজবাড়িতে আশ্রয় দিয়ে অন্যত্র জমি বিক্রি করিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা অখিল ও তার সহযোগিদের এ আপত্তিকর কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে ঘটনার সাথে নিজের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই দাবী করে অখিল দাস বলেন, রাজনৈতিক কারনে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। জমি বিক্রিকারী সুব্রত দাসের ব্যবহৃত (০১৭০১-০০৯৩৫৫) নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।