কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় রক্তাক্ত জখম ৯ জন। তাদেরকে ধারালো অস্ত্র রামদা এবং বড় বড় হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এদের মধ্যে মুমুর্ষ অবস্থায় ৫ জন কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যন্যদের ভর্তি করা হয়েছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রায়টা বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, স্থানীয় রায়টা বাজারে বসে চা খাচ্ছিল রায়টা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ওয়ার্ড জাসদের সভাপতি ফরিদ মহলদার (৬০) সহ লোকজন। এ সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষ লুৎফর লস্করের নেতৃত্বে প্রায় ২৫/৩০ জনের সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এ সময় রামদা আর বড় বড় ধারালো হাসুয়ার আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয় ফরিদ মহলদার (৬০), রায়টা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদুল ইসলাম সান্টু (৪১), সাত্তার মহলদার (৬৫), মান্নান মহলদার (৪২), নান্নু মহলদার (৩৫), আল্লেক মহলদার (৪৬), মিঠন (৩৫), সিদ্দিক (৩৮)ও জাহাঙ্গীর হোসেন সাবলু (৩৬)। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় মহলদাররা ধাওয়া দিলে লস্কর গ্রুপের লোকজন পিছু হটে। পরে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাদের কে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সাত্তার, মান্নান, নান্নু, আল্লেক, শহীদুলের অবস্থা আরো অবনতি হলে তাদের কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়। এ ঘটানায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রায়টা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিন্টু জানান, প্রতিপক্ষ লুৎফর লস্কর এর সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল মহলদারদের সাথে। লুৎফর লস্কর’র বাড়িতে সম্প্রতি পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। তার নেতৃত্বেই ২৫/৩০ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ এ হামরা চালায়। রামদা আর ধারালো হাসুয়ার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের কে ঢাকা মেডিক্যালে রেফার্ড করা হয়েছে।