বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে ও আত্ম নির্ভরশীল দেশ গড়তে হলে আধুনিক রেলপথের কোন বিকল্প নেই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলপথকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেযাচ্ছি। রেলপথের নানান অনিয়ম দূর্নীতি রুখে সচ্ছতা,দক্ষতা,জবাবদিহিতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনীতির হাতেখড়ি। সেই আর্দশের চেতনা বুকে ধারণ করে রেলযোগাযোগ বৃদ্ধিকল্পে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে রেলপথে যোগাযোগ ছিল শতকরা ৩০শতাংশ এখন ঐ যোগাযোগ ১১শতাংশে নেমে এসেছে। কারণ হিসেবে জনবল সংকট,দীর্ঘদিনধরে রেলওয়েতে কোন নিয়োগ নেই।১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ১০হাজার রেলকর্মীকে ছাটাই করে দিয়েছে। অন্যান্য যোগাযোগের সাথে তাল মিলিয়ে রেলপথকে আরো বিস্তর গতিতে এগিয়ে নেবার জন্যে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। পৃথিবীর সকল দেশই রেলপথ উন্নত আমাদেও দেশে তা হবেনা কেন ? তাই বিশে^র সাথে তাল মিলাতে ও আধুনিক রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে রেলপথের উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। দুর্গাপুর পর্যন্ত ১২কিঃমিঃ রেলপথের কার্যক্রম অভিলম্বে শুরু করা হবে।তাছাড়া সোমেস্বরী নদীর উপর ব্রিজ নির্মানের কাজও অভিলম্বে শুরু করা হবে। ৩মে শুক্রবার নেত্রকোনার বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কালচারাল একাডেমীর বার্ষিক ওয়ানগালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্গাপুর থানা মসজিদে মন্ত্রী জুম-আর নামাজ আদায় শেষে দুপুর দুইটায় একাডেমীর অতিথিশালায় অবস্থান নেন,সেখানে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে পরিচিতি এবং বিনিময় হয়। আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকায় সভার স্থান একাডেমীর হলরুমে স্থানান্তর করা হয়। বিকাল পোনে চার টায় শুরু হয় অতিথিদের বরণ করে নেওয়ার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে মন্ত্রী একাডেমি চত্বরে গাছের চারা রোপন করেন। জেলা প্রশাসক মঈন উল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যদেন একাডেমীর পরিচালক শরদিন্দু সরকার স্বপন হাজং। বিশেষ অতিথির বক্তব্যদেন মৎস্য ও প্রানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুএমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধক মানু মজুমদার,পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী,আদিবাসী গবেষক মনিন্দ্রনাথ মরাক প্রমুখ।