জেলায় প্রথমবারের মতো করোনা আক্রান্তদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার প্রস্তুত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এনিয়ে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নগরীর প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’র (পিটিআই) আওতাধীন দুটি হোস্টেলকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। শের-ই-বাংলা ও আহসান হাবীব নামের এ দুই পুরুষ হোস্টেলের ২৬টি কক্ষে ৫২ জনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা যাবে।
করোনা ভাইরাসের সতর্কতা হিসেবে আগাম প্রস্তুতি ও আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আরও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করার কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
সূত্রমতে, গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত জেলায় ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বরিশালের মুলাদীতে শনাক্ত হওয়ার আগে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা প্রতিরোধের প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান আরও জানান, রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই শনাক্ত ব্যক্তিদের বসবাসের এলাকা নিশ্চিত করে লকডাউন প্রক্রিয়া চালানো হয়ে থাকে। পাশাপাশি করোনা শনাক্তদের অবস্থান, যাতায়াতের স্থান ও সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।