নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় আবু জাহেদ (২৩) নামের এক ছাত্রলীগে কর্মী নিহত হয়েছেন। ঘটনায় ওমর ফারুক (২০) নামের এক ছাত্রলীগ নেতা ও রাহেদ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনায় ৬জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে জাহেদের মৃত্যু হয়। এরআগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামপুর মাদ্রাসা সড়কের মুহুরিরট্যাক হাবিব উল্যা চৌধুরীর বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু জাহেদ রামপুর ২নং ওয়ার্ডের মিয়াধনের ছেলে। আহতরা হচ্ছেন, ওই ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ও ছাত্রলীগ কর্মী রাহেদ। আহতদের মধ্যে রাহেদের অবস্থা আশংকাজনক।
আটককৃতরা হচ্ছেন, রামপুর ওয়াকি ভূঁইয়া বাড়ীর মাহবুল হকের ছেলে আবদুল আলিম (২২), মুছাপুর ৩নং ওয়ার্ডের শেখ ফরিদের ছেলে শেখ মো. হাসান (১৫), একই এলাকার মাহবুবুল হকের ছেলে আমির হোসেন (১৮), রামপুর ২নং ওয়ার্ডের ছইমুদ্দিন বেপারী বাড়ীর অজি উল্যার ছেলে আবদুস সাত্তার প্রকাশ শিপন (২৪), আবদুল ওহাব প্রকাশ রিপন (৩০) ও আবদুল আলিম (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর আগের ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ কর্মী আবু জাহেদের সাথে স্থানীয় হৃদয় নামে এক কিশোরের বিরোধ ছিল। শুক্রবার রাতে জাহেদ, ফারুক ও রাহেদ মাদ্রাসা সড়কের মুহুরিরট্যাক হাবিব উল্যা চৌধুরীর বাড়ী এলাকার একটি চা দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে হৃদয়ের সাথে জাহেদের বাকবির্তক হয়। পরে হৃদয় চা দোকান থেকে বের হয়ে চলে যায়। এরকিছুক্ষণপর হৃদয়, অপু, আমির হোসেনসহ কিশোর গ্যাং এর কয়েকজন সদস্য জাহেদ, ফারুক ও রাহেদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তিনজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আবু জাহেদ এবং রাহেদের অবস্থার অবনতি হলে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে জাহেদের মৃত্যু হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতাদের আটকের চেষ্টা চলছে। হত্যার ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।