নাটোরের সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউপি-মানিকচাপড় ভায়া থাইল হাট ৫.৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে কাঁদা মিশ্রিত নি¤œমানের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দেড় কোটি টাকার রাস্তায় খোয়ার পরিবর্তে কাঁদা মিশ্রিত পুরোনো রাবিশ ব্যবহার করা হচ্ছে। যত্রতত্র ভাবে কাজের গুণগত মান খারাপ হচ্ছে।
এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে রামানন্দ খাজুরা ইউপি-মানিকচাপড় ভায়া থাইল হাট পর্যন্ত ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬ হাজার ৭০০ টাকা চুক্তি মূল্যে ৫.৭ কিলোমিটার রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএনট্রেড, বলারিপাড়া, নাটোর। একাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মীর্জা খোকন। সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায় সড়কের ঝিংগাবাড়িয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় প্রায় ২০০মিটার এলাকা জুড়ে নি¤œমানের রাবিশের উপর কাঁদা মিশ্রিত খোয়া দিয়ে যত্রতত্র ভাবে সংস্কার কাজ চলছে। কাজ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত এলজিইডির কার্যসহকারী মশিউর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, অ্যাজিংয়ের ইটের খোয়া তো পুরোনোই হয়। আর বৃষ্টির দিন কাঁদা-মাটি থাকবে। তবে কাপেটিংয়ের আগে পানি দিয়ে পরিস্কার করা হবে। কাজ কেমন হচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি মোটামুটি বলে মন্তব্য করেন।
ঝিংগাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক হাসান আলী বলেন, রাস্তার কাজের মান খারাপ হলেও দেখার যেন কেউ নেই। আর ভালো রাস্তা ভেঙ্গে এভাবে কাজ করার কোন দরকার ছিল না বলে জানান তিনি।
ঠিকাদার মীর্জা খোকন বলেন, মেশিনে ভাঙ্গার কারণে একটু রাবিশ বেশি হয়ে গেছে। তবে সেটা ব্যবহারের অনুপোযগী নয়। কাজে একটু উনিশ-বিশ হলে হতেও পারে। তবে তা ঠিক করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাসান আলী বলেন, কোন কাঁদা-মাটি মিশ্রিত খোয়া বা নি¤œমাণের রাবিশ ব্যবহার করা যাবে না। বিষয়টি জানার পর উপ-সহকারী প্রকৌশলী পাঠানো হয়েছে।