নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির ফলে বাজারে গিয়ে কিছুই কিনতে স্বস্তি পাঁচ্ছে না সাধারণ মানুষ। দিন দিন ক্রমশই লাগামহীনভাবে বাড়ছে সকল পন্যের দাম। বিভিন্ন কারণে দাম বাড়ানো হচ্ছে এসব পন্যের যেমন, অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য ব্যবসায়ীরা পণ্য মজুত করে বাজারে সংকট তৈরী করা। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
রাজধানীর বজারগুলোতে দেখা যায় ক্রেতারা কোনো দোকানে হয়তো আট-ময়দা পেলেও চিনি পাঁচ্ছেন না। আবার কোথাও চিনি পেলেওে পাঁচ্ছেন না সয়াবিন তেল বা আটা। আবার এসব পণ্যের মোড়কজাত দু-একটি প্যাকেট থাকলেও নেই খোলা পণ্য। ফলে চাহিদামত পণ্য নিতে হলে কয়েকটি দোকান ঘুরতে হচ্ছে ক্রেতাদের। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন এসব পণ্য। ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে পণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে। যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েক মাসে পণ্যের দাম কমেছে কিন্তু স্থানীয় বাজারগুলোতে বাড়ানো হচ্ছে দাম। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০২ ও প্যাকেটজাত চিনি ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে বাজারগুলোতে সাদা চিনি খোলা ১২০ টাকা কেজি এবং প্যাকেটজাত সাদা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৩ থেকে ১৩৫ টাকায়। বাজারে দেশি লাল চিনি প্যাকেট কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা করে।
গত ১৭ নভেম্বর ভোজ্যতেলের দাম নতুন করে বাড়ানে হয়। এতে লিটার প্রতি ১২ টাকা বাড়িয়ে খোলা সয়াবিনের দাম ১৭২ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধরণ করা হয় ১৯৫ টাকা। তবে বাজারে খোলা সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১৮৫ টাকা। এ ছাড়া বোতল সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৯৫-২০০ টাকা। দাম বেড়েছে খোলা আটা সব দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকায়। দুই কেজি প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা। ময়দা খোলা প্রতিকেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৭০-৭৫ এবং প্যাকেট ময়দা ৫-১০ টাকা বেড়ে ৭৫-৮৫ টাকা।
ব্যয় কমিয়েও আয়ের সঙ্গে সমন্বয় করতে না পারায় অস্বস্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করছে ব্যবসায়ীরা। সর্বত্র কারসাজি ও অতিরিক্ত মুনাফা করা প্রবণতা থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে আসা উচিত। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বাজার ব্যবস্থাপনায়ও আরও কঠোর নজরদারির ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই ক্রেতারা স্বস্তি ফিরে পাবে বলে আশা করা যায়।