বাংলাদেশ এখন বিশে^ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নিজ অবস্থান করে নিয়েছে। ফলে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিশেষ ইউটিলিটি সার্ভিস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিনিয়োগ বান্ধব আইন বা নিতিমালা করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের প্রতিযোগিতামূলক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ জ¦ালানি অবকাঠামোর বিস্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন সেবা-পরিসেবা প্রদানে ওয়ান- স্টপ সার্ভিসও চালু করা হয়েছে। গত ছ’ ডিসেম্বর গণভবন থেকে ভার্চুয়ালই যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনে স্থাপিত জাপান অর্থনৈতিক অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি বিদেশী ও প্রবাসী বাঙ্গালিদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহবান জানান।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন একটা জায়গায় অবস্থান করছে, যেখানে পাচ্য ও পাশ্চাত্যের একটি সেতুবন্ধ রচনা হতে পারে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি বেশি মানুষের বাজার হতে পারে। প্রায় ১৭ কোটি মানুষ এখন বাংলাদেশেই। আর পূব দিকে ৫০ কোটি, উত্তর দিকে ১০০ কোটি আর পশ্চিমে ১০০ কোটি মানুষের বাজার রয়েছে। যোগাযোগ অবকাঠামোর বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ থেকে পণ্য পরিবহনে বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যারা বিনিয়োগ করবেন, তারা সমৃদ্ধ হবেন, বাংলাদেশেরও উপকার হবে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি আঞ্চলিক বাজার ধরার সুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজস্ব মার্কেটের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলোতে বড় বাজার রয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ পূব এশিয়ার সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ উন্নত করেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। সেখানেও আমাদের বাজার আছে। কাজেই বিনিয়োগদের সব চেয়ে উত্তম জায়গা বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, তবে গ্যাস বিদ্যুৎ ও লজিস্টিক সাপোটের ক্ষেত্রে আমাদের টেকসই উন্নয়ন করতে হবে। কারণ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ¦ালানি তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের উৎপাদন ব্যবস্থায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অন্য দিকে বিদেশীরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন না। তাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সরকার ও দেশে রাজনৈতিক দল গুলোর সহযোগিতা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছেন। সেখানে শিল্পকারখানা স্থাপিত হচ্ছে। উৎপাদন বাড়ছে বেকারের হাত কর্মীর হাতে রূপ নিচ্ছে। অর্থনীতির গতি বাড়ছে। দেশের কল্যাণে জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ধংসাত্বক রাজনীতি থেকে দুরে সরে গঠন মূলক রাজনীতির ধারা সূচনা করা জরুরি।