সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি তালতলা পূর্বপাড়ার কালীমপুর এলাকা পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বিধবা মহিলা হনুফা বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে পারভীন তিন মাসের গর্ভবতি মেয়ের উপর হামলা, বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মৃত জয়নাল এ-র স্ত্রী বিধবা মোসাঃ হনুফা বেগম (৫৫) হামলার ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখ ও ৫/৬ জনের অজ্ঞাত করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ নং ২১৬। বিবাদীরা হলো- মোঃ আফজাল হোসেন (৪৫) পিতা মৃত সোনামিয়া, মোঃ রাকিবুল (২৫) পিতা অজ্ঞাত, মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (২৪) পিতা অজ্ঞাত। সর্বসাং জালকুড়ি তালতলা নাসিক ৯নং ওয়ার্ড থানা সিদ্ধিরগঞ্জ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারি বিধবা মহিলা হনুফা বেগম জানায় তার ৪ মেয়ে ও ১৮ বছরের ১ ছেলে। ৭বছর আগে চার মেয়ে ও এক ছেলে রেখে ইন্তেকাল করেছেন। অনেক দুঃখ কষ্ট করে সংসার চালিয়ে বেচে আছি। অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বিবাদীদের সাথে আমাদের জায়গা জমি সংক্রান্তে বিরোধ রয়েছে। আমরা ২৫ বছর পূর্বে বর্তমান ঠিকানার জমি ক্রয় করে বাড়ী তৈরী করে বসবাস করছি। ওই জায়গায় বিবাদীরা জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কর্মকা- করে দখল করিতে চায়। ওই জায়গা জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। ওই জায়গা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ কাঃ ১৪৫ ধারায় মামলা চলিতেছে। উল্লিখিত বিবাদীরা গত ১৫ জনুয়ারি রাতে আমার বাড়ীতে বৈআইনী ভাবে প্রবেশ করিয়া "বলে তোরা এই জায়গা ছাড়িয়া অন্য জায়গায় চলিয়া যাবি যদি এখন না জাস তাহলে তোদের উপর হামলা করিয়া এলাকায় ছাড়িয়া দিতে বাধ্য করিবো" বলিয়া আমার বসতঘরে ভাংচুর করে। টিনের বেড়া ভাংচুর করে টিন খুলিয়া ফেলে বাসার ভিতরে আসবারপত্র কাঠের আলমারি ভেংগে চুরমার করিয়া ফেলে। এ সময় আমার আলমারীতে থাকা ১ ভরি স্বর্ণের চেইন, ৮ আট আনার স্বর্নের কানের দুল, নগদ ৪০,০০০/-হাজার টাকা জোরপূর্বক লুটপাট করে নিয়া যায়। আমরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা আমাদের উপরে হামলা করে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় নিলাফুলা জখম করে। এ সময় আমার বড় মেয়ে পারভীন আক্তার (৩০) বর্তমানে ৩ মাসের অন্তসত্বা অবস্থায় আছে। আমার বড় মেয়েকে ১নং বিবাদী লাথি মারিয়া নিম্ন অঙ্গ রক্ত খরন করে। পরবর্তীতে আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের এলাকার লোক এগিয়ে আসিলে সন্ত্রাসীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে। পরে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দিলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে চলিয়া আসে এবং পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়। পরে আহত অবস্থায় আমার মেয়ে তিন মাসের অন্তসত্বা মেয়েকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করি। চিকিৎসা শেষে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করি। ওই বিষয়ে সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী বিধবা হনুফা বেগম। এবিষয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এ.এ.সআই জহিরুল জানান অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগের বিষয়টা তদন্ত প্রক্রিয়া দিন রয়েছে। তদন্ত শেষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন আনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।