সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেওে হামলা ও মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। বর্তমানে সে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত ১২ই ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার বাঐখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছোট ভাই লিটন হোসেন বাদী হয়ে গত ১৫ ই ফেব্রুয়ারি ৬ জনকে বিবাদী করে ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৬, ৩০৭, ৩২৩, ৫০৬ (২), ১১৪,ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের পুত্র মোকলেছুর রহমান নিজস্ব জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যায়। এ সময় একই গ্রামের মৃত আনিছার মন্ডলের ছেলে রজব আলী মন্ডল (৪২), এনামুল মন্ডল (৩৮), জিয়া মন্ডল(৩৪), মৃত জাহের মন্ডলের ছেলে আমিনুর মন্ডল (৪৮)মৃত মছের মন্ডলের ছেলে আবদুর রশিদ মন্ডল (৫৬), মৃত খোরশেদ আলী মীরের ছেলে আকবর আলী মীর (৫৮) একযোগে ধারালো ছুরি, লোহার রড, লাঠি ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে বিবাদীরা মোকলেছুর রহমানের উপর অতর্কিত ভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্য তার শরীরে এলোপাতাড়ি ভাবে হামলা করে এবং গুরুতর জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় হামলা ঠেকাতে গিয়ে মোকলেছুরের পুত্র জাকারিয়া খানও আহত হয়। আহতেদর ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করার পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরিদুল ইসলাম জানান, ভিকটিম মোকলেছুরের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে সেলাই করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিবাদীগনের আপন চাচাতো ভাই সবুজ মন্ডল জানান, বাদী ও ভিকটিমদের নিকট থেকে তার বোনেরা ৩ বিঘা ১৯ শতাংশ করে জমি পায়। কিন্তু এই জমি না দেওয়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে একাধিকবার শালিসি বৈঠক হয়। বোনদের জমি না দিয়ে শালিসি বৈঠক অমান্য করে। এ নিয়ে দন্ড আরো চরম আকার ধারণ করে। এরই জেরে এই হামলা মামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে বিবাদীদের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে কাউকে পাওয়া যায়নি। সবাই পলাতক রয়েছে। রায়গঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি হারুনর রশীদ বলেন, আমার নিকট কোন অভিযোগ আসেনি। আদালত থেকে মামলার কাগজপত্র থানায় এলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে মামলা তুলে নেওযার জন্য বিবাদী পক্ষের লোকজন বাদী পক্ষের লোকজনকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ রয়েছে।