শেরপুরের নকলায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি (ডিআরএইচ)-এর কার্যক্রম পরিদর্শন
করেছেন ডিআরএইচ কর্মসূচির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পিন্টু কুমার। তিনি
রবিবার (৩ মার্চ) থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার ৫টি মাধ্যমিক
বিদ্যালয় ও দাখিল স্তরের ৫টি মাদ্রাসা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
এর অংশ হিসেবে সোমবার উপজেলার বানেশ্বর্দী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায়
চলমান পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি (ডিআরএইচ)-এর কার্যক্রম পরিদর্শন করনে তিনি।
পরিদর্শন কালে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পিন্টু কুমার সকল শিক্ষকদের উপস্থিতে
সংগঠকদের ইউজার কমিটির সভা, দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশ, নিয়মিত বই আদান-প্রদান,
বিশ্ব বই দিবসসহ সকল জাতীয় দিবসে সভা সেমিনার করার পাশাপাশি ডিআরএইচ
কর্মসূচীকে বেগবান করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়া পাঠাভ্যাস
উন্নয়ন কর্মসূচির কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করার পাশাপাশি শিক্ষক ও ৬ষ্ঠ থেকে
১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় ও বই পড়ায় উদ্বুদ্ধকরণ সংক্ষিপ্ত
আলোচনা সভা করা হয়।
উন্মুক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. শহিদুল
ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পিন্টু কুমার এবং নকলা
প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা-গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার
সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোশারফ হোসাইন প্রমুখ।
তথ্য মতে জানা গেছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক
বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি)-এর
অন্তর্ভুক্ত স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং
সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিমের ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র কার্যক্রম শুরু
করা হয়। এর মধ্যে, নকলা উপজেলার মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের ২৯টি
বিদ্যালয় এবং ১৯টি মাদ্রাসায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি (ডিআরএইচ)-এর
কার্যক্রম চলছে।
এবিষয়ে বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম
জানান, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র কার্যক্রম
অজ্ঞাত কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত পাঠ্য বই ছাড়া
বাহিরের তথা জ্ঞান মূলক বই পড়ার অভ্যাস গড়া থেকে ছিটকে পরেছিলো। কিন্তু পুনরায়
এই কর্মসূচি চালু হওয়ায় দেশের অগণিত শিক্ষার্থী পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির
তালিকা ভুক্ত মূল্যবান বই গুলো পড়ার মাধ্যমে নিজেদের আদর্শ, সমৃদ্ধ, মানবিক ও
মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে এই
কর্মসূচিটি স্থায়ী করনের দাবী জানান সুপার মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম ও সহকারী
শিক্ষক সংগঠক মো. মোশারফ হোসাইনসহ অনেকে।