রোজা শুরুর প্রথম দিন থেকেই রাজধানীতে জানজটের মাত্রাতিরিক্ততা লক্ষ করা গেছে। যদিও রমজানে রাজধানীর সড়কে জনভোগান্তি কমাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রমজান শুরুর আগের দিন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে আয়োজিত সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, সড়কে এ বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। অবৈধভাবে কেউ রাস্তায় গাড়ি পার্ক করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি যারা গাড়ি ব্যবহার করছেন এবং যারা রাস্তার আশপাশে ব্যবসা করছেন, তাদের সহযোগিতাও দরকার বলে তিনি জানিয়েছেন। রমজানে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাজধানীর যানজট অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করি আমরা। অধিক জনসংখ্যা ও বিপুলসংখ্যক যানবাহনের এ নগরীতে যানজট নিরসনে সুপরিকল্পিত ও উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই। এবং তা কেবল রমজানের সময় নয়, সার্বক্ষণিকভাবেই যাতে চালু থাকে, তেমন ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। রাজধানীর সড়কের পাশে অনেক প্রাইভেট কার অবৈধভাবে পার্ক করা হয় সত্য; তবে সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য বেশি দায়ী বাস-মিনিবাসগুলো। স্টপেজ ছাড়াও এসব বাস যত্রতত্র যাত্রী ওঠায়। এ নিয়ে সড়কে চলে তাদের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা। এমনকি সড়কের মাঝখানেও বাস থেকে যাত্রী নামতে দেখা যায়। বাসগুলোর এ ধরনের চলাচলে সড়কে সৃষ্টি হয় যানজট। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এ দিকটিতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি আমরা। বস্তুত গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে আনা গেলে রাজধানীর সড়কে জনভোগান্তি কমে আসতে বাধ্য। রমজানে বিশেষ করে ইফতারের কয়েক ঘণ্টা আগে সড়কগুলোয় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। স্বাভাবিকভাবেই সবার লক্ষ্য থাকে বাসায় গিয়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ইফতার করার। সড়কে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনা গেলে এ ভোগান্তির উপশম সম্ভব হতে পারে। তবে ট্রাফিক বিভাগের অবশ্যই চেষ্টা থাকতে হবে সড়কে স্থায়ীভাবে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার। পাশাপাশি নগরবাসীকেও ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। সকলে এগিয়ে আসলে এই যানজট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।