জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা বাজেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে দিন ব্যাপী নামে মাত্র প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগিতায় প্রাণীসম্পদ প্রাঙ্গনে এ মেলার আয়োজন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার এর সভাপতিত্বে মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সহকারী কমিশনার ভূমি সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপ সিংহ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পলাশ কান্তি দত্ত সহ খামারীগন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ৩০ টি প্রদর্শনী স্টল থাকলেও অধিকাংশ ছিলো ফাঁকা। অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ এমপি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার স্টল পরিদর্শন করে যাওয়ার পরই মুহুর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় সব স্টল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খামারী অভিযোগ করে বলেন, সরকারী বরাদ্ধের ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বাজেটে এ মেলার আয়োজন করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। এত টাকা সরকারী বরাদ্ধ থাকার পরও নিম্নমানের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তীব্র তাপদাহেও আমাদের স্টল গুলোতে কোন বাতাশের ব্যবস্থা ছিলো না। আমাদের মেলায় ডেকে একরকম অপমান করা হয়েছে। তীব্র রোদ ও গরম থাকলেও স্টল গুলোতে পযাপ্ত আলো ও বাতাশের ব্যবস্থা না থাকায় মেলায় আসা বিভিন্ন প্রজাতির গরু, ছাগল ও পশুপাখি ক্লান্ত হয়ে হাপিয়ে উঠে। যার কারণে আমরা আমাদের পশু প্রাণী নিয়ে চলে এসেছি। না আসলে আমাদের প্রাণী গুলো মারা যেতে পারতো।
অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, আমরা অনুষ্ঠান শেষ করে স্টল গুলো পরিদর্শন করে চলে এসেছি। এরপরের আর কিছু জানি না। মেলায় আসা খামারীদের পুরস্কার ও সার্টিফিকেট সম্পর্কে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলতে পারবেন। আমরা কোন পুরস্কার দেইনি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পলাশ কান্তি দত্ত জানান, আমরা আমাদের সার্ধ্যমত মেলাকে সফল করার চেস্টা করেছি। তারপরও ভুল হতে পারে। এ ছাড়া আমরা খামারীদের পুরস্কারের সকল অর্থ ও সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছি।