১০ শর্তে ৭ দিন ব্যাপি ৫০০ বছরের রাজশাহীর বাঘার ঐতিহাসিক ঈদ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ মেলার ইজারা প্রদান সম্পূন্ন করা হয়েছে। রোববার (২৩ মার্চ) সকাল ১১ টায় বাঘা মাজার শরিফ চত্বরে ৭ দিনের জন্য উন্মুক্ত ডাকের আয়োজন করা হয়। এই মেলা ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ইজারা প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, ৮ লক্ষ টাকার জামানত সাপেক্ষে এ ইজারায় অংশ নেয় অত্র এলাকার ৬৮ জন ব্যবসায়ী। এরমধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৭ দিনের জন্য এই মেলা ইজারা পেয়েছেন বাঘা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শফিউর রহমান শফি।
মেলা ইজারা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবিহা সুলতানা, বাঘা থানা ওসি আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লা সুলতান, বাঘা জাদুঘরের সহকারি কাস্টোডিয়ান দবির হোসেন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ফকরুল হাসান বাবুল, আশরাফ আলী মলিন, কামাল হোসেন, তফিকুল ইসলাম তফি প্রমুখ।
এ বিষয়ে মেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, আবদুল আব্বাসী (রঃ) বংশের হযরত শাহ্ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহদৌলা (রহঃ) ও তার ছেলে হযরত আব্দুল হামিদ দানিশমন্দ (রহঃ) ওফাৎ দিবসে ধর্মীয় ওরস মোবারক উৎসবকে কেন্দ্র করে সাধকদের সাধনার পীঠস্থান হিসেবে ওয়াকফ এষ্টেটের এলাকা জুড়ে ঈদুল ফিতরের ঈদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ মেলা। তবে মেলায় অশ্লীল কোন কিছু চলবেনা মর্মে ১০টি শর্ত সাপেক্ষে ৭ দিনের জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে। সুষ্ট সুন্দর পরিবেশে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সার্বক্ষনিক পুলিশ বাহিনী সতর্ক থাকবে। এরপরেও কোন অপ্রীতিকর ও অনৈতিক কোন ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বাঘা জাদুঘরের সহকারি কাস্টোডিয়ান দবির হোসেন বলেন, রাজশাহী শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ কোনে বাঘায় হযরত শাহদৌলা (রঃ) ও ছেলে হযরত আঃ হামিদ দানিশ মন্দ (রঃ) সাধনার পীঠস্থান। বাঘা শাহী মসজিদের ভিতরে প্রবেশ পথের উত্তর গেটের বামদিকে হযরত শাহদৌলা (রঃ) রওজা শরীফ অবস্থিত।
৫০০ বছর আগে বাগদাদ থেকে ৫ জন সংগীসহ ইসলাম প্রচারের জন্য পূর্ব-দক্ষিণ কোনে পদ্মা নদীর কাছে বাঘা নামক স্থানে বসবাস শুরু করেন। তারপর নিজের চরিত্র, মাধুর্য্য, ব্যবহার ও আত্মিক শক্তির বলে এই এলাকার জনগণের মধ্যে ইসলাম প্রচারে আকৃষ্ঠ করেন তিনি। এই এলাকার মানুষ তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাঁর আত্মিক ক্ষমতার প্রভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মানুষ। তাঁর স্বরণে প্রায় ৫০০ বছর যাবত চলছে ঈদ মেলা।