আ. ন. ম শামসুল ইসলাম

ইসলামী আদর্শের বিজয় ছাড়া মানবতার মুক্তি ও উন্নতি অসম্ভব

এফএনএস (মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন; সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
ইসলামী আদর্শের বিজয় ছাড়া মানবতার মুক্তি ও উন্নতি অসম্ভব

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাতকানিয়া - লোহাগাড়া সংসদীয় আসনের সাবেক এম. পি আলহাজ্জ মাওলানা আ. ন. ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ষাট শতাংশ মানুষ শ্রমজীবি। শ্রমজীবি মানুষের শ্রমে, ঘামে, ত্যাগে দেশের চাকা সচল থাকে। কিন্তু শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য পাওনা পায় না। তারা সভ্যতা বিনির্মাণের কারিগর। কিন্তু তাদের ভাগ্যের চাকা সব সময় থাকে শ্লথ। তাদের সাথে সব সময় তামাশা করা হয়। তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়। ইসলামী আদর্শের বিজয় ছাড়া মানবতার সত্যিকার মুক্তি ও উন্নতি অসম্ভব। তিনি বলেন, শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনের দোহাই দিয়ে তাদেরকে পক্ষে এনে পৃথিবীতে বহু বিপ্লব হয়েছে। দুনিয়ার ইতিহাসে বিভিন্ন আন্দোলনে শ্রমজীবিরা যেদিকে গেছে শাসন ক্ষমতা সেদিকে গেছে। শ্রমিক যেদিকে বিপ্লব সেদিকে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় শ্রমিকদেরকে পক্ষে নিয়ে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হয়েছে। ১৯৪৭ সালে "লাঙ্গল যার জমি তার" এই শ্লোগান দিয়ে চায়নাতে মাও সে তুং বিপ্লব করেছে। তিনি বলেন, মানব গড়া মতবাদ দিয়ে সাধিত বিপ্লব দ্বারা দুনিয়ার কোথাও মানুষের ভাগ্যের সত্যিকার পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধিত হয়নি। ধনীরা আরো ধনী হয়েছে। গরীবেরা গরীব রয়ে গেছে। আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে সাধিত বিপ্লবের মাধ্যমেই সকল স্তরের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ও উন্নতি ইনসাফের ভিত্তিতে সাধিত হয়েছে। এক্ষেত্রে কুরআনের নির্দেশনায় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতৃক সাধিত বিপ্লব এখনও অদ্বিতীয় মডেল। সেই মডেল অনুসরণ করে সকল শ্রমজীবিসহ সর্বস্তরের মানুষকে সুসংগঠিত করে একটি সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অনিয়মমুক্ত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে হবে। সেজন্য সবাইকে নৈতিক চারিত্রিক গুণাবলী ও কাংখিত যোগ্যতা অর্জণ করে নিজেদেরকে দেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, লুটেরারা ইসলামকে ঠেকিয়ে রাখতে চায়। ইসলামের ভিত্তিতে দেশ ও সমাজ পরিবর্তনের শ্বাশ্বত আন্দোলনকে ভয় পায়। তাই জুলুম করে, মামলা, হামলা, সন্ত্রাস, গুম, খুন, সাজানো ফাঁসির নাটকের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদেরকে নির্মূল করতে চায়। কিন্তু তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তারা আল্লামা সাঈদীকে কারাগার থেকে হাসপাতালে এনে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেও ইসলামী আন্দোলনকে দমাতে পারেনি। নিজেদের পতনও ঠেকাতে পারেনি। তিনি আজ ৪ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক থানা শাখার দ্বি - বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ ফোরকান আজাদের সভাপতিত্বে কেরানিহাট সী ওয়ার্ল্ড রিসোর্টের হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্ঠা জনাব জাফর সাদেক। আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্ঠা এডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসহাক, জেলা সভাপতি মাওলানা নুরুল হোসাইন, থানা শাখার প্রধান উপদেষ্ঠা মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, উপদেষ্ঠা অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন, এডভোকেট মুহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমূখ।

সম্মেলন শেষে ২০২৫ ও ২০২৬ সেশনের জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি পরিষদ গঠিত হয়।

পরিষদের সদস্যগণ হলেন-

সভাপতি : মুহাম্মদ ফোরকান আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ, সহ সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু সালেহ, দপ্তর সম্পাদক আরমান হোসাইন, প্রচার, মিডিয়া ও প্রযুক্তি সম্পাদক জোবায়ের আলম, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফেজ মোহাম্মদ আরাফাত, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক জায়েদ বিন আজাদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম, আইন ও আদালত সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সম্পাদক আব্দুল জব্বার, কর্মসংস্থান সম্পাদক মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য শহিদুল ইসলাম, রিদওয়ানুল হক, সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, আব্দুল গফুর ও রূহুল আমিন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে