চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের তোফজ্জেল হোসেন লাল্টুর ছেলে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র শিহাব (৯) কে পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামের খেদাগাড়ি নামক মাঠ থেকে ৯ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর অনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শিহাব তার বড় ভাই জিহাদ-এর খোজে যাচ্ছে বলে মাকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর শিহাব বাড়ি ফিরে না আসায় শুর“ হয় খোজা-খুজি। কিন্তু খোজা খুজির দু-দিন পেরিয়ে গেলেও কোন প্রকার খোজ কিংবা কোন পক্ষ থেকে শিহাবের বিষয়ে কোন প্রকার তথ্য পরিবারের নিকট আসেনি। অবশেষে শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে গ্রামের পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামের খেদাগাড়ির মাঠ নামক স্থানে স্থানীয় একজন শিহাব কে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় পুলিশ কে খবর দেয়। এমন খবর পেয়ে ছুটে আসে শিহাবের মা আত্বীয় স্বজন সহ এলাকার লোকজন। লোকমুখে একটি কথাই বারংবার উচ্চারিত হতে থাকে মাত্র ৯ বছরের কিশোর কে এভাবে হত্যা করার পিছনে কি কারণ থাকতে পারে?
শিহাবের মা বিলকিচ খাতুন জানায়, শিহাব হত্যা কান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা এব্যাপারে খাতিয়ে দেখা হচ্ছে। পারিবারিক ভাবে মামলা দাযের করলেই আইনুগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।