 |
জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় ধর্ষণের ব্যর্থ চেষ্টার লিখিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ(ওসি)খান হুমায়ুন কবীর। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরও বিষয়ের প্রতি গরিমশি করার কমতি ছিলনা তাঁর,অভিযোগটি আমলে না নিয়ে মিমাংসা করার কয়েক দফা উদ্যোগ নেন তিনি। ১১ জানুয়ারী বুধবার ছিল থানা চত্বরে সর্বশেষ বৈঠক,বৈঠকে একতরফা আলোচনার পর বিচার প্রার্থী হওয়া বা এ বিষয়ে মামলা না করার জন্য বাদীপক্ষকে সাব বলে দিলেন ওসি হুমায়ুন কবীর।তাৎক্ষনিক গুঞ্জন শুরু হয় ওসির রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে,নির্যাতিতার বানী না শুনেই বিষয়ের ফয়সালা দিয়েদিলেন তিনি। সরগরম হয়েউঠে বৈঠকস্থল ওসি চলে গেলেন তার চেম্বারে। নিরব মিছিল সহকারে থানা চত্বর ত্যাগ করলেন বিবাদী পক্ষের শতক ব্যক্তি। “বিচারের বানী নিরবে নিবৃতে কাঁদে”এই বানী বুকে ধারণ করে সাহসের সহিত ওসি’র রুমে ঢুকে পরলো নির্যাতিতা নারী নাজমা বেগম।ওসি নির্যাতিতার কথা শুনতে না চাইলেও অকপটে বলতে শুরু করলো নির্যাতনের কাহিনী। ওসি একপর্যায়ে বলে উঠে এসব মায়াকান্না শুনার সময় আমার নাই তোমরা সবাই বাড়ী যাও অথবা অন্যকেউ বিচার করতে পারলে সেখানে যাও। সত্য ঘটনার বিচার না পেয়ে কষ্ট বুকে দিয়ে ওসির রুমথেকে বাহির হয়ে গেলেন নির্যাতিতা নাজমা,তার পিতা,মাতা,ভাই,বোন জামাই সহ তার পক্ষের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
বাদী পক্ষের লিখিত বিবরণে প্রকাশ দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের শষারপাড় গ্রামের আঃ রেজ্জাক মিয়ার স্কুল পড়-য়া কন্যা নাজমা বেগম(১৮)কে বাড়ীর আঙ্গিনায় রাত ৯টার দিকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্ঠা চালায় প্রতিবেশী মোঃ সাহাব উদ্দিন এর পুত্র ফারুক মিয়া(২৫)।দস্তাদস্তির সময় নাজমার আর্তচিৎকারে বাড়ীর লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে সেখান থেকে নাজমা ও ফারুক মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটে ২৮ডিসেম্বর বুধবার রাত নয়টার দিকে।পরদিন বৃহস্পতিবার নাজমার পিতা রেজ্জাক মোবাইল সেটটি সহ দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়। একই দিনে একই সময়ে উভয়ের অজান্তে ফারুক মিয়া আসে তার মোবাইল হারানোর জিডি করতে,বিষয়টি জানাজানি হলে বাদীর সহায়তায় মোবাইলের মালিক ফারুক মিয়াকে আটক করে পুলিশ। খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে আটক ফারুক মিয়াকে জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুভ্রত রেমা। মোবাইল সেটটি থানা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছে বলে ওসি হুমায়ন কবীর প্রতিনিধিকে জানান।